Monday, April 25, 2016

"থানায় GD/সাধারণ ডায়েরী করার পদ্ধতি"

জিডি করবেন কিভাবে: নমুনাসহ
যেকোনো হুমকি বা কোনো কিছু হারিয়ে গেলে জিডি করার কথা সবাই ভাবেন। কিন্তু থানায় গিয়ে কিভাবে জিডি করতে হয়, তা অনেকেই জানেন না। জিডি হলো সাধারণ ডায়েরি (জেনারেল ডায়েরি) বা কোনো বিষয়ে সাধারণ বিবরণ। এই আইনি সহায়তা পেতে একটি বিবরণ লিখিতভাবে থানায় জমা দিতে হয়। প্রাপ্তবয়স্ক যেকোনো ব্যক্তি থানায় এটি করতে পারবেন।
যেসব কারণে জিডি করতে পারবেন:
বিভিন্ন কারণে জিডি করা হয়। যেমন কেউ ভয় দেখালে বা হুমকি দিলে অথবা নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে থানায় জিডি করা হয়ে থাকে। শুধু তা-ই নয়, কোনো ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা থাকলে জিডি করা যায়।
এসবের বাইরেও কোনো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, যেমন পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, চেকবই, লাইসেন্স, শিক্ষাসংক্রান্ত সনদ, দলিল ইত্যাদি হারিয়ে গেলেও জিডি করা যায়। এ ছাড়া কেউ কারও সম্পদের ক্ষতি করলে, প্রাণনাশের হুমকি দিলে, বাসার কেউ হারিয়ে বা পালিয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে জিডি করা জরুরি।
কেননা, সন্দেহভাজন কোনো ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় বা হারানো কিছুর জন্য জিডি করা হলে ওই ঘটনা ঘটার পর দোষী ব্যক্তিকে শনাক্তকরণে বা হারানো জিনিস খুঁজে পেতে এবং আইনি সহায়তা নিতে জিডির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
কোথায় এবং কিভাবে করবেন:
জিডি করার ক্ষেত্রে সাধারণত ঘটনাস্থলকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। অর্থাৎ, যে এলাকায় ঘটনা ঘটেছে বা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে, সে এলাকার থানাতেই জিডি করা উচিত। নিজের এলাকার থানাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত, তবে ঘটনা ঘটেছে বা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে এক থানায় আর জিডি করবেন অন্য থানায়, এমনটি হওয়া উচিত নয়। কেননা এতে আইনি সহায়তা নিতে ঝামেলা পোহাতে হয়।
জিডি করতে হয় দরখাস্ত আকারে। দরখাস্ত করতে হবে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বরাবর। নিচে থাকবে থানার নাম। বিষয় হিসেবে উল্লেখ করতে হবে যে ব্যাপারে জিডি করতে চান তার নাম (যেমন হারানোর ব্যাপারে লিখতে পারেন, হারানো সংবাদ সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন)। বিবরণ অংশে আপনাকে বিস্তারিত লিখতে হবে। অবশ্যই আপনাকে আশঙ্কার কারণ, যার জন্য আশঙ্কা করা হচ্ছে বা যে হুমকি দিয়েছে, তার নাম, ঠিকানা, হুমকির স্থান, তারিখ উল্লেখ করতে হবে। কিছু হারিয়ে গেলে তার বিস্তারিত বিবরণ এবং পারলে তার কোনো নমুনা, যেমন ছবি দরখাস্তের সঙ্গে সংযুক্ত করবেন। সব শেষে নিচে আপনার নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর লিখে দেবেন।
যদি কোনো বিষয়ে এখনই কোনো মামলা না করতে চান, তাহলে জিডিতে স্পষ্ট করে উল্লেখ করে দিতে হবে যে এ বিষয়ে আপাতত কোনো মামলা করবেন না। তবে মনে রাখবেন, পুলিশ যদি মনে করে যেকোনো মারাত্মক অপরাধ ঘটেছে, তাহলে জিডি থেকেও মামলা হতে পারে।
জানা জরুরি:
মনে রাখবেন, জিডি করতে যেকোনো পরামর্শের জন্য সার্ভিস ডেলিভারি অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আপনি যদি লিখতে না পারেন, তবে তাঁকে লিখে দিতে অনুরোধ করুন এবং এ জন্য কোনো টাকাপয়সা দিতে হবে না। আবেদনের একটি কপিতে জিডি নম্বর, তারিখ এবং অফিসারের স্বাক্ষর ও সিল লাগিয়ে আপনাকে প্রদান করা হবে এবং জিডিটি নথিভুক্ত হবে। কপিটি আপনি নিজের জন্য সংরক্ষণ করবেন। জিডি হওয়ার পর তা কর্তব্যরত কর্মকর্তা থানার ওসির কাছে পাঠাবেন। জিডিটি যদি আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটন বিষয়ে হয়, তবে থানা কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আমলে নিয়ে অপরাধটি প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেবে এবং কি ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা আবেদনকারীকে অবহিত করবে।
জিডির একটি নমুনা কপি:
তারিখঃ ………………
বরাবর
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
………………..থানা, ঢাকা।
বিষয় : সাধারণ ডায়েরি ভুক্তির জন্য আবেদন।
জনাব,
আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী নাম: …………………………………
বয়স : ………………………………………………………
পিতা/স্বামী : ………………………………………………..
ঠিকানা : …………………………………………………….
এই মর্মে জানাচ্ছি যে আজ/গত …………………….. তারিখ ……………. সময় …………….জায়গা থেকে আমার নিম্নবর্ণিত কাগজ/মালামাল হারিয়ে গেছে।
বর্ণনা : (যা যা হারিয়েছে)
বিষয়টি থানায় অবগতির জন্য সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করার অনুরোধ করছি।
বিনীত
নাম:
ঠিকানা:
মোবাইল নম্বর:

Wednesday, March 30, 2016

নামজারী/মিউটেশন/খারিজ কি?

নামজারী/মিউটেশন/খারিজ কি?
ভূমি ব্যবস্থাপনায় মিউটেশন বা নামজারী একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। জমি ক্রয় বা অন্য কোন উপায়ে জমির মালিক হয়ে থাকলে হাল নাগাদ রেকর্ড সংশোধন করার ক্ষেত্রে মিউটেশন একটি অপরিহার্য নাম। ইংরেজী মিউটেশন (Mutation) শব্দের বাংলা অর্থ হলো পরিবর্তন। আইনের ভাষায় এই মিউটেশন শব্দটির অর্থই হলো নামজারী। নামজারী বা নাম খারিজ বলতে নতুন মালিকের নামে জমি রেকর্ড করা বুঝায়। অর্থাত্‍‍ পুরনো মালিকের নাম বাদ দিয়ে নতুন মালিকের নামে জমি রেকর্ড করাকে নামজারী/নাম খারিজ বলে। ভূমি মালিকানার রেকর্ড বা খতিয়ান বা স্বত্বলিপি হালকরণের জন্য জরিপ কার্যক্রম চূড়ান্ত করতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। যে সময়ের মধ্যে উত্তরাধিকার সূত্রে, এওয়াজ সূত্রে বিক্রয়, দান, খাস জমি বন্দোবস্ত ইত্যাদি ভূমি মালিকানার পরিবর্তন প্রতিনিয়ত ঘটতে থাকে। যে কারণে প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল ভূমি মালিকানার রেকর্ড হালকরণের সুবিধার্থে জমিদারী অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর ১৪৩ ধারায় কালেক্টরকে (জেলা প্রশাসক) ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই ক্ষমতা বলে জমা, খারিজ ও নামজারী এবং জমা একত্রিকরণের মাধ্যমে রেকর্ড হাল নাগাদ সংরক্ষণ করা হয়।
কমিশনার (ভূমি) ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়েল ১ঌঌ০ এর ২০ অনুচ্ছেদ বলে নামজারী বা মিউটেশনের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। পূর্বে নামজারীর বা মিউটেশনের দায়িত্ব উপজেলা রাজস্ব বা অফিসার বা সার্কেল অফিসার (রাজস্ব) পালন করতেন।
নামজারীর বিভিন্ন পদ্ধতি:
ভূমির মালিকানা যেমন বিভিন্ন ভাবে অরর্র্জিত হয় তেমনি নামজারীর ধরনও বিভিন্ন পদ্ধতিতে হয়ে থাকে।
যেমন:
হস্তান্তর দলিল (এল.টি নোটিশ) মূলে নামজারী
সার্টিফিকেট মূলে নামজারী
এল.এ মোকদ্দমার ভিত্তিতে নামজারী
আদালতের ডিক্রি মূলে নামজারী
উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির নামজারী
আবেদনের ভিত্তিতে নামজারী
হস্তান্তর দলিল (এল.টি.নোটিশ) মূলে নামজারী: দলিল রেজিস্ট্রির পর হস্তান্তর নোটিস (এল.টি. নোটিস) সহকারী ভূমি কমিশনারের অফিসে পাঠাতে হবে। উক্ত নোটিস পাবার পর সহকারী ভূমি কমিশনার তার অফিসে একটি নামজারী কেস নথি খুলে তা তদন্তের জন্য তহসিল অফিসে পাঠাবেন। তহসীলদার সরেজমিনে ও রেকর্ড যাচাই করে বাংলাদেশ ফরম নং ১০৭৮ এ প্রতিবেদন দিবেন।
সার্টিফিকেট মূলে নামজারী:সার্টিফিকেট মূলে কোন খবর সম্পত্তির নিলাম ক্রেতা নামজারীর আবেদন করলে নিলামের বায়না ও দখলনামার ভিত্তিতে নামজারী আবেদন মঞ্জুর করা যাবে। নিলাম ক্রেতা সরকার হলে, 'রেজিষ্ট্রার' (i) I (ii) সংশোধন করতে হবে এবং রেজিষ্ট্রার (Viii) এর খন্ড সংশোধন করতে হবে।
এল. এ. মোকদ্দমার ভিত্তিতে নামজারী: কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান ভূমি অধিগ্রহণ করে নামজারীর আবেদন না করলে কালেক্টরের এল.এ. শাখা হতে ভূমি অধিগ্রহণের (এল.এ) মোকদ্দমার নম্বর ও তফশিল সংগ্রহ করে ঐ সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজ নামে হোল্ডিং খোলার জন্য নোটিশ আবেদন পাওয়া গেলে পেশকৃত কাগজ পত্র যাচাইক্রমে সংশ্লিষ্ট সংস্থার নামে হোল্ডিং খুলে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করতে হবে।
আদালতের ডিক্রিমূলে নামজারী: আদালতের ডিক্রি মূলে সরকারী খাস জমি এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির নামজারী করা যায় এরূপ ডিক্রির (একতরফা/দোতরফা) এরপর উক্ত জমি পুনরায় রেজিস্ট্রির প্রয়োজন ন।(ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়েল এর ৩২১ অনুচ্ছেদ)
তবে এরূপ ডিক্রি মূলে প্রাপ্ত খাস জমির নাম জারীর আবেদন পাওয়া গেলে একটি নামজারী মোকদ্দমা চালু করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মতামতের জন্য তা কালেক্টরের (ডি.সি) এর নিকট প্রেরণ করতে হবে।
উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির নামজারী: কোন হোল্ডিং এর মালিকের মৃত্যুতে (যদি তিনি তার সম্পত্তি নিজ নামে আলাদা হোল্ডিং করে গিয়ে থাকেন) তার উত্তরাধিকারীগণ নিজেদের নাম ঐ হোল্ডিং ভূক্ত করার জন্য সহকারী ভূমি কমিশনারের নিকট দরখাস্ত করতে হবে এবং উক্ত দরখাস্তের সাথে সাকশেসন সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) গণের বরাবরে প্রেরিত ভূমি প্রশাসন বোর্ডের ১৮-৭-১৯৮৪ ইং তারিখের ২০-এ.এস-১৭/৮৪ (১৪০) নং স্মারকের ৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দরখাস্তকারীকে ম্যাজিষ্ট্রেট/প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা/ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/সংসদ সদস্যের মত জন প্রতিনিধি কর্তৃক প্রদত্ত সাকশেসন সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে।
উত্তরাধিকারী আবেদনকারী সাকশেসন সার্টিফিকেট সহ নামজারীর জন্য সহকারী ভূমি কমিশনারের নিকট দরখাস্ত দাখিল করলে ভূমি সহকারী কমিশনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করে নামজারীর আদেশ দিবেন। এক্ষেত্রে নতুন কোন হোল্ডিং না খুলে মৃত ব্যক্তির নাম কর্তন করে, ফারায়েজ অনুযায়ী হিস্যা/জমির ভাগ বন্টন করে উত্তরাধিকারীদের নাম পূর্বের হোল্ডিং এর জায়গায় হোল্ডিংভুক্ত করলেই চলবে।

Tuesday, March 1, 2016

"দন্ডবিধির বিভিন্ন প্রকার শাস্তি যোগ্য ধারাসমূহ"



দন্ডবিধির বিভিন্ন প্রকার শাস্তি যোগ্য ধারাসমূহ: 
জামিনযোগ্য অপরাধের ধারা সমূহ:
৩৩৪-৩৫২, ৩৫৪, ৩৫৫. ৩৫৭-৩৬৩, ৩৭০, ৩৭৪,৩৮৪, ৩৮৮, ৩৮৯, ৪০৩, ৪০৪, ৪১৭-৪৩৫, ৪৪৭, ৪৪৮,৪৫১, ৪৬১-৪৬৫, ৪৬৯-৪৭৫, ৪৭৭ক-৪৮৯, ৪৮৯গ, ৪৯১,৪৯৪-৫০৪, ৪০৬-৫১০।
জামিন অযোগ্য অপরাধের ধারা সমূহ:
৩৫৩, ৩৫৬, ৩৬৪, ৩৬৪ক, ৩৬৫, ৩৬৬ক,৩৬৬খ-৩৬৯, ৩৭১-৩৭৩, ৩৭৬-৩৮২, ৩৮৫-৩৮৭,৩৯২-৪০২, ৪০৬-৪১৪, ৪৩৬-৪৪০, ৪৪৯, ৪৫০,৪৫২-৪৬০, ৪৬৬-৪৬৮, ৪৮৯ক, ৪৮৯খ, ৪৮৯ঘ, ৪৯৩,৫০৫, ৫০৫ক, ৫১১।
মৃত্যু দন্ডের ধারাসমূহ: ১২১, ১৩২, ১৯৪, ৩০২, ৩০৩, ৩০৫, ৩২৬-ক, ৩৬৪-ক,৩৯৬
দন্ডবিধির মোট ৯টি ধারায় এবংআরো কয়েকটি বিশেষ আইনের ধারায়ওমৃত্যুদন্ডের বিধান রয়েছে যেমন নারী ওশিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০,
বিশেষক্ষমতা আইন ১৯৭৪,
এসিড অপরাধ দমন আইন২০০২, ইত্যািদি।
যাবজ্জীবন কারাদন্ডের ধারাসমূহ:
১২১, ১২১-ক, ১২২, ১২৪-ক, ১২৫, ১২৮, ১৩০, ১৩২,১৯৪, ১৯৫, ২২২, ২২৫ (মৃত্যুদন্ডে দন্ডিতব্যক্তিকে আইনসঙ্গত হেফাজতে বাধাদিলে), 
২৩২, ২৩৮, ২৫৫, ৩০২, ৩০৪, ৩০৫, ৩০৭,৩১১, ৩১৩, ৩২৬, ৩২৬-ক, ৩২৯, ৩৬৪, ৩৬৪-ক,৩৭১, ৩৭৬, ৩৭৭, ৩৮৭, ৩৮৮, ৩৮৯ (সম্পত্তিআদায়ের জন্য কারাদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধেঅভিযুক্ত করার অস্বাভাবিক ভয় দেখালে),
৩৯৪-৩৯৬, ৪০০, ৪০৯, ৪১২, ৪১৩, ৪৩৬, ৪৩৮, ৪৪৯,৪৫৯, ৪৬০, ৪৬৭, ৪৭২, ৪৭৪, ৪৭৫, ৪৭৭, ৪৮৯-ক,৪৮৯খ, ৪৮৯-ঘ, ধারা।
এছাড়া বিশেষ কয়েকটি আইনের ধারায়ওযাবজ্জীবন কারাদন্ডের বিধান রয়েছে।
শুধুমাত্র বিনাশ্রম কারাদন্ডের ধারাসমূহ:
১৬৩, ১৬৬, ১৬৮, ১৬৯, ১৭২, ১৭৩, ১৭৪, ১৭৫, ১৭৬,১৭৮, ১৭৯, ১৮০, ১৮৭, ১৮৮, ২২৩, ২২৫-ক(খ), ২২৮,২৯১, ৩০৯, ৩৪১, ৩৫৮, ৫০৯, ৫১০
শুধুমাত্র জরিমানা দন্ডের ধারাসমূহ: ১৩৭, ১৫৪, ১৫৫, ১৫৬, ১৭১ছ, ১৭১জ, ১৭১ঝ, ২৬৩ক,২৭৮, ২৮৩, ২৯০।

                            __[ বিঃদ্রঃ ]__                              
পোষ্টটি Share করে অন্যকে দেখতে সহায়তার অনুরোধ রইল ।

Friday, January 8, 2016

কোন কোন কাজের জন্য Tax Clearance Certificate / TIN Certificate প্রয়োজন হয় ?

কোন কোন কাজের জন্য Tax Clearance Certificate / TIN Certificate প্রয়োজন হয় ?
১) আমদানি রফতানির (IRC) লাইসেন্স পেতে ।
২) আমদানির জন্য L/C খুলতে ।
৩) সিটি কর্পোরেশন ও পৌরএলাকাতে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে ।
৪) জমি, দালান, ফ্ল্যাট ইত্যাদি ক্রয়ের রেজিস্ট্রেশান করতে (অনিবাসি করদাতাদের ক্ষেত্রে নয়) ।
৫) পণ্য বা সেবা সরবরাহ কাজের জন্য দরপত্র জমা দিতে ।
৬) গাড়ি রেজিস্ট্রেশান, মালিকানা পরিবরতন, ফিটনেস নবায়ন করতে ।
৭) ৫০০,০০০ টাঁকার উপরে কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্টান হতে লোন নিতে ।
৮) ক্রেডিট কার্ড নিতে ।
৯) কোন পেশাদারি কাজের প্র্যাকটিস এর জন্য লাইসেন্স নিতে, যেমনঃ ডাক্তার, প্রকৌশলী, ইত্যাদি ।
১০) কোন কম্পানির শেয়ারহোল্ডার হতে হলে ।
১১) আইএসডি টেলিফোনে লাইন পেতে।
১২) বাণিজ্যিক কাজের জন্য গাস, বিদ্যুৎ এর লাইন পেতে ।
১৩) ড্রাগ লাইসেন্স পেতে ।
১৪) কোন ক্লাব এর সদস্য পদ পেতে ।
১৫) কোন ব্যবসায়িক সংগঠনের সদস্য পদ নবায়ন করতে ।
১৬) কোন দালান নির্মাণের প্লান অনুমদনের ক্ষেত্রে ।
১৭) নিকাহ রেজিস্ট্রেশান লাইসেন্স পেতে ।
১৮) জরিপ কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্টানের লাইসেন্স নবায়ন করতে ।
১৯) বিমা সারভেয়ারদের লাইসেন্স নবায়ন করতে ।
২০) বিমা কম্পানিএর এজেন্টদের সার্টিফিকেট নবায়ন করতে ।
২১) ইট ভাটার আনুমদন বা লাইসেন্স নবায়ন করতে ।
২২) নির্বাচনের জন্য নমুনেশন পত্র জমা দিতে ।

Thursday, January 7, 2016

"পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩"


এই আইনের ধারা ৩ মোতাবেক,


(১) প্রত্যেক সন্তানকে তাহার পিতা-মাতার ভরণ পোষণ নিশ্চিত করিতে হইবে।
(২) কোন পিতা-মাতার একাধিক সন্তান থাকিলে সেইক্ষেত্রে সন্তানগণ নিজেদের মধ্যে আলাপ- আলোচনা করিয়া তাহাদের পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করিবে।
(৩) এই ধারার অধীন পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করিবার ক্ষেত্রে প্রত্যেক সন্তানকে পিতা-মাতার একইসঙ্গে একই স্থানে বসবাস নিশ্চিত করিতে হইবে।
(৪) কোন সন্তান তাহার পিতা বা মাতাকে বা উভয়কে তাহার, বা ক্ষেত্রমত, তাহাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে, কোন বৃদ্ধ নিবাস কিংবা অন্য কোথাও একত্রে কিংবা আলাদা আলাদাভাবে বসবাস করিতে বাধ্য করিবে না।
(৫) প্রত্যেক সন্তান তাহার পিতা এবং মাতার স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ খবর রাখিবে, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও পরিচর্যা করিবে।
(৬) পিতা বা মাতা কিংবা উভয়, সন্তান হইতে পৃথকভাবে বসবাস করিলে, সেইক্ষেত্রে প্রত্যেক সন্তানকে নিয়মিতভাবে তাহার, বা ক্ষেত্রমত, তাহাদের সহিত সাক্ষাত করিতে হইবে।
(৭) কোন পিতা বা মাতা কিংবা উভয়ে, সন্তানদের সহিত বসবাস না করিয়া পৃথকভাবে বসবাস করিলে, সেইক্ষেত্রে উক্ত পিতা বা মাতার প্রত্যেক সন্তান তাহার দৈনন্দিন আয়-রোজগার, বা ক্ষেত্রমত, মাসিক আয় বা বাৎসরিক আয় হইতে যুক্তিসঙ্গত পরিমাণ অর্থ পিতা বা মাতা, বা ক্ষেত্রমত, উভয়কে নিয়মিত প্রদান করিবে।
এই আইনের ধারা ৪ এর বিধান মোতাবেক:- 

প্রত্যেক সন্তান তার পিতার অবর্তমানে দাদা-দাদীকে; এবং মাতার অবর্তমানে নানা-নানীকে ভরণ-পোষণ প্রদানে বাধ্য থাকবে।


পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ না করিবার দণ্ড ধারা ৫ মোতাবেক,

৫। 
(১) কোন সন্তান কর্তৃক ধারা ৩ এর যে কোন উপ- ধারার বিধান কিংবা ধারা ৪ এর বিধান লংঘন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য অনূর্ধ্ব ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবে; বা উক্ত অর্থদণ্ড অনাদায়ের ক্ষেত্রে অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবে।
(২) কোন সন্তানের স্ত্রী, বা ক্ষেত্রমত, স্বামী কিংবা পুত্র-কন্যা বা অন্য কোন নিকট আত্নীয় ব্যক্তি—
(ক) পিতা-মাতার বা দাদা-দাদীর বা নানা- নানীর ভরণ-পোষণ প্রদানে বাধা প্রদান করিলে; বা
(খ) পিতা-মাতার বা দাদা-দাদীর বা নানা- নানীর ভরণ-পোষণ প্রদানে অসহযোগিতা করিলে—
তিনি উক্তরূপ অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করিয়াছে গণ্যে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।

Thursday, November 26, 2015

"আয়কর পরিচিতি - পর্ব-১"

আয়কর রিটার্ন কি?
আয়কর কর্তৃপক্ষের নিকট একজন করদাতার বার্ষিক আয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ উপস্থাপন করার মাধ্যম হচ্ছে আয়কর রিটার্ন। আয়কর রিটার্ন ফরম এর কাঠামো আয়কর বিধি দ্বারা নির্দিষ্ট করা আছে। আয়কর আইন অনুযায়ী রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়।
আয়কর রিটার্ন কারা দেবেন:
কোন ব্যক্তি (individual) করদাতার আয় যদি বছরে ২,২০,০০০/- টাকার বেশী হয় তবে তাকে রিটার্ন দিতে হবে। মহিলা এবং ৬৫ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সের পুরুষ করদাতার আয় যদি বছরে ২,৭৫,০০০/- টাকার বেশি, প্রতিবন্ধী করদাতার আয় যদি বছরে ৩,৫০,০০০/- টাকার বেশী এবং গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় যদি বছরে ৪,০০,০০০/- টাকার বেশী হয় তাহলে তাঁকে রিটার্ন দিতে হবে। তবে আয়ের পরিমাণ যা-ই হোক না কেন কতিপয় ব্যক্তির ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক। তাঁদের তালিকা নীচে দেয়া হলোঃ
(১)    আয়বর্ষে করযোগ্য আয় থাকলে;
(২)    আয়বর্ষের পূর্ববতী তিন বছরের যে কোন বছর করযোগ্য আয় নিরূপিত হলে;
(৩)    সিটি কর্পোরেশন অথবা বিভাগীয় ও জেলা শহরের পৌরসভায় বসবাসকারীদেরঃ
ক) একটি গাড়ীর মালিক হলে;
খ) মূল সংযোজন কর আইনে নিবন্ধিত কোন ক্লাবের সদস্য হলে;
(৪) সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদে ব্যবসা পরিচালনার জন্য ট্রেড লাইসেন্স এবং ব্যাংক এ্যাকাউন্ড থাকলে;
(৫) ডাক্তার, দন্ত চিকিসৎক, আইনজীবী, আয়কর আইনজীবী, চার্টার্ড একাউন্টেন্ট, কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট এ্যাকাউন্টেন্ট, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার অথবা সমজাতীয় পেশায় নিয়োজিত সকল ব্যক্তিবর্গ;
(৬) চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অথবা কোন ট্রেড এসোসিয়েশনের সকল সদস্য;
(৭) পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন অথবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল পদপ্রার্থী;
(৮) সরকারী; আধা-সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা অথবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ঠিকাদারী কাজে টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান.


Translate